ডেস্ক রিপোর্ট: এরপর থেকে তা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে করোনার এই ধরনের ব্যাপক প্রকোপ দেখা গেছে। সেখানকার ৮০ শতাংশ সংক্রমণ ঘটছে ল্যামডার প্রাদুর্ভাবে।চিলিতে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের আলফা ও ব্রাজিলের গামা ধরনের চেয়ে এটি বেশি সংক্রামক। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকেও এই ধরন বেশি ফাঁকি দিতে পারে।সার্স-কভ-২ এর ল্যামডা ধরন ছড়িয়ে পড়া দেশগুলো হলো—চিলি, যুক্তরাষ্ট্র, পেরু, জার্মানি, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, স্পেন, ইসরায়েল, কলোম্বিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সুইজারল্যান্ড, মিসর, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, কানাডা, পোল্যান্ড, আরুবা, অস্ট্রেলিয়া, কুরাকাও, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, তুর্কি, উরুগুয়ে ও জিম্বাবুয়ে।মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পেরু থেকে ল্যামডা ধরন ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে। দেশটিতে মৃত্যুর হারও বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও ল্যামডা বেশি সংক্রামক বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।সিটিভির নিউজের খবরে বলা হয়, ভাইরাসের এই ধরনের রূপান্তর অ্যান্টিবডির নিষ্ক্রীয়করণ ক্ষমতাকে সম্ভাব্য প্রতিরোধ করতে পারে। গত ১৫ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে মারাত্মক কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের জন্য দায়ী ল্যামডা। করোনার বিস্তারে সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনটির প্রকোপও সমানতালে বাড়ছে। এটির রুপান্তরের কারণে সংক্রমণ সক্ষমতা বেড়ে চলছে।এই ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কতটা প্রতিরোধী হতে পারবে, তা নিয়ে আরও গবেষণার দরকার বলে মনে করছে জাতিসংঘ।তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাইরাসবিদ জেইরো জেইরো মেন্ডেজ-রিকোর কথায় কিছুটা আশাবাদ ফুটে উঠেছে। জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ল্যামডা ধরন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে কিংবা উচ্চ মৃত্যুর হারে নেতৃত্ব দেবে—এমন কোনো আভাস মেলেনি।মহামারি শুরু হওয়ার পর পেরুতে জনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৫৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। হাঙ্গেরির চেয়ে যেটি ৮৯ শতাংশ বেশি। গত এপ্রিল থেকে পেরুতে আশি শতাংশ সংক্রমণের জন্য ল্যামডা ধরন দায়ী।এছাড়াও গত দুমাসে চিলিতে করোনা সংক্রমণের এক তৃতীয়াংশ ল্যামডা ধরনের। গত ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে এই ধরনকে ‘তদন্তাধীন ভ্যারিয়েন্ট’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য ইংল্যান্ড (পিএইচই) জানিয়েছে, ল্যামডা মারাত্মক রোগের কারণ কিংবা এতে টিকা কম কার্যকর—বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

Covid-19 coronavirus binding to human cell, conceptual computer illustration. SARS-CoV-2 coronavirus (previously 2019-nCoV) binding to an ACE2 receptor on a human cell (not to scale). SARS-CoV-2 causes the respiratory infection Covid-19, which can lead to fatal pneumonia. ACE2 (angiotensin-converting enzyme 2) is a membrane-bound aminopeptidase, the key host receptor for the spike glycoprotein of SARS-CoV-2 which serves as initial step in the development of coronavirus infection on a cellular level and a potential target for treatment strategy.
ভয়ংকর ‘ল্যামডা’ ছড়িয়েছে যেসব দেশে
0
Share.