ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপ জুড়ে বেড়েছে তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই স্পেন, জার্মানি ও গ্রিসে শুরু হয়েছে ভয়াবহ দাবানল। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকাগুলোতে। আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলের। এসব অঞ্চলে কেবল শুরু হয়েছে গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন তাপমাত্রা এবং দাবানল অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দাবানলের এমন ভয়ঙ্কর রূপ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তাদের। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে এমনটা ঘটছে বলে মনে করছেন তারা। চলমান তিন ইউরোপীয় দেশের দাবনলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামোরা প্রদেশ। সেখানকার ২৫ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। বসতবাড়ির ৮০০ মিটারের মধ্যে আগুন চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। চলমান পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৯টি বিমান, চারটি হেলিকপ্টার ও ৭০টি দমকল। এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটির একটি অংশে যে কোনো ধরনের আউটডোর ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বার্লিনের নিকটস্থ তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানির কর্মকর্তারা। একই ধরণের আবহাওয়া বিরাজ করছে ইতালি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যেও। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের ফলে বিরল পরিবর্তন আনা হয়েছে ইংল্যান্ডের উচ্চতর রয়্যাল অ্যাসকট রেসকোর্সের প্রোটোকলেও। অতিথিদের মাথায় টুপি ও জ্যাকেট ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা শুধু রাজ পরিবারের জন্য নির্ধারিত ছিল। শুক্রবার মাদ্রিদের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া সংস্হা এইএমইটি। ১৯৮১ সালের পর থেকে গ্রীষ্মের শুরুতেই এত তাপমাত্রা কখনো দেখা যায়নি। এদিকে তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ায় শীতাতাপ যন্ত্রের ব্যবহার ক্রমশ বাড়াতে হচ্ছে, ফলে দেশগুলোতে বেড়েছে জ্বালানির চাহিদা। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতিতে ইউরোপ জুড়ে সংকট দেখা দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি।