মঙ্গলে তৈরি করা যাচ্ছে অক্সিজেন, নিঃশ্বাস নিতে পারবে মানুষ

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  লালগ্রহ মঙ্গলে এখন স্বচ্ছন্দে গড়িয়ে বেড়াচ্ছে মার্কিন রোভার পারসিভারেন্স। মঙ্গলের শব্দ রেকর্ড করছে, পেটে করে নিয়ে যাওয়া হেলিকপ্টার উড়াচ্ছে- আরও কত কিই যে করে বেড়াচ্ছে যুগান্তকারী এই রোবট। এবার মার্কিন গবেষণা সংস্থা-নাসার তৈরি এ রোভার মঙ্গলের বাতাস ছেঁকে অক্সিজেন তৈরি করলো।সে অক্সিজেন নিঃশ্বাসের জন্য তো বটেই, কাজে লাগানো যাবে রাকেটের জ্বালানি হিসেবেও। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ফিনফিনে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের স্তর থেকে কার্বনডাইঅক্সাইডকে অক্সিজেনে বদলে দিতে সক্ষম হলো পারসিভারেন্স।মঙ্গলে তো কেবল পানি বা প্রাণের খোঁজ করতেই যায়নি পারসিভারেন্স। রোভারটি নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে মঙ্গলের বুকে। যার মধ্যে একটি হল অক্সিজেন তৈরি করা। এর জন্য রোভারে রয়েছে মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট- মোক্সি।এই যন্ত্রের কাজ হল কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন বের করা। গত ২০ এপ্রিল মানে মঙ্গলের দিনের হিসেবে ৬০তম মার্সিয়ান ডে-তে এই অক্সিজেন ছেঁকে বের করার সফলৈ পরীক্ষা চালায় রোভারটি।মোক্সি-র প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর মাইকেল হেচেট বলেছেন, মঙ্গলে যদি নভচরীদের নিয়ে যেতে হয়, তাহলে অক্সিজেন দরকার। জ্বালানির জন্যও দরকার অক্সিজেন।চারজন নভচারী রকেটে চেপে মঙ্গলে যেতে কম করেও ১৫ হাজার পাউন্ড বা ৭ মেট্রিক টন জ্বালানি দরকার পড়বে। তার জন্য ৫৫ হাজার পাউন্ড বা ২৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন দরকার হবে। জ্বালানি ও নিঃশ্বাস- দুটোর জন্যই লাগবে অক্সিজেন।এই বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তার জন্য খরচও পড়বে বিশাল। তাই এই কাজ মঙ্গলের মাটিতেই সেরে ফেলতে পারলে অনেক সুবিধা হবে বিজ্ঞানীদের কাছে। চাইলেই জ্বালানি ভরে চট করে মঙ্গল থেকে চাঁদেও পাড়ি দেওয়া যাবে।বিশাল সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া তাই এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। বিজ্ঞানী মাইকেল বলছেন, মোক্সি যন্ত্রে কম করে হলেও ২৫ টন অক্সিজেন তৈরি হতে পারে।

Share.