স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটের আবিষ্কারকদের একটাবার বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। কত জনই এলো গেল, কত বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেল কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের খরা আর মুছতে পারেনি কেউ।ইংলিশদের বিশ্বকাপ যখন অধরা স্বপ্নে পরিণত হয়ে গিয়েছিল ঠিক তখনই তাত্রা হয়ে আসেন এউইন মরগ্যান। ইংলিশদের এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক খেলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের হয়েও। মূলত তিনি আইরিশ। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে যে এভাবে বদলে দেবেন সেটা কে জানতো! শুধু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকেই বদলে দেননি, বদলে গেছে মরগ্যানের জীবনও। আজ ১৪ জুলাই, ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে ইংলিশদের হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার এক বছর পূর্ণ হবার দিন। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ‘টাই’ হওয়া ম্যাচ বেন স্টোকসের দারুণ অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে শেষ হাসি হাসে ইংল্যান্ড। সেই বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এউইন মরগ্যান বলেছেন, একটা বিশ্বকাপ তার জীবন বদলে দিয়েছে। ‘একটা বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য এই দেশের মানুষের অপেক্ষা ছিল এতদিন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে ক্রিকেটের গুরুত্ব বেড়ে গেছে সঙ্গে আমার জীবনও বদলে গেছে। মানুষ আগে যতটা চিনতো আমাকে এখন তার চাইতেও অনেক বেশি চেনে।’ দেশটির ক্রিকেট চর্চা আর নিজের জীবন বদলে যাওয়া নিয়ে মরগ্যান আরও বলেন, নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে এখানে। আমি এখন বাইরে গেলেই সেটা হোক রাস্তায় বা ক্যাফেতে। আমাকে দেখলে ছুটে আসছে। দেশের বাইরেও যখন বেড়াতে যাই তখনও একই অবস্থা দেখি। ২০১৫ বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মরগ্যান। সেবার বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ফিরতে হয়েছিল দেশে। সেই হারের পরও মরগ্যানের উপরই আস্থা রেখেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট। এরজন্য মরগ্যানকে করতে হয়েছে অনেক কঠিন পরিশ্রম। তারই সফলতা পেয়েছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। ‘জীবনে কোনো কিছু পেতে হলে এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সেটি যেকোনো কাজেই হোক, শুধু যে বিশ্বকাপের জন্য সেটা নয়। আপনি যত পরিশ্রম করবেন, ফল ততো মিষ্টি পাবেন।’ গত বিশ্বকাপ ফাইনাল ইংল্যান্ডের সেরা দিনগুলোর একটি উল্লেখ করে মরগ্যান বলেন, ব্রিটিশদের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা দিনগুলোর একটি হয়ে উঠেছে এই ম্যাচটা। আরেকটা বিশ্বকাপ জেতা পর্যন্ত তো নিশ্চিত ভাবে সেরা হয়ে থাকবে আর এই ব্যপারটাই আমাকে তৃপ্তি দেয়।
মরগ্যানের জীবন বদলে দেয়া বিশ্বকাপ
0
Share.