মাছ লুটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

বাংলাদেশ থেকে যশোর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর উপজেলার আড়ুয়া-সারুটিয়া ছোট বিলের মৎস্য ঘের থেকে জোরপূর্বক ২ লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০ জনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান। ১৪ নভেম্বর আসামিরা ঘের থেকে মাছ ধরে নিয়ে পাঁজিয়া বাজারের মৎস্য আড়তে বিক্রি করে। জানা গেছে, উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের ছোট বিলের মধ্যে ৮৫ বিঘা জমি হারি নিয়ে ১০/১১ বছর মাছের ঘের করে আসছেন মামলার বাদী এস এম মনজুর রহমান। বিবাদীরা বিভিন্ন সময় ঘেরের ক্ষতি সাধনের পায়তারা করে আসছে। যার সূত্র ধরে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর ভোর ৫টার দিকে বিবাদীরা ঘের থেকে জোর করে দুই লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে পাঁজিয়া বাজারের মৎস্য আড়তে বিক্রি করে। এরপর পুনরায় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে আবার বিবাদীরা দলবল নিয়ে ঘেরে এসে মাছ ধরতে থাকে। এ সময় মাছ ধরতে বাধা দিলে সারুটিয়া গ্রামের আবুল কাশেম,আলমগীর হোসেন, শফিকুল গাজী, মামুন সরদার, মিকাইল বিশ্বাস, ফয়সাল হোসেনকে ধারালো দা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে হাড় ভাঙ্গা ও জখম করে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার সময় হামলাকারীরা এপাচি একটি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বে) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ঘেরের মাছ লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান একটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং-০৮। তাং-১৯-১১-২৪। মামলার আসামিরা হলেন, এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত পাঁজিয়া মাদারডাঙ্গা গ্রামের মেছবাহ উদ্দীন মিল্টন, সারুটিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল সরদার, সিদ্দিকুর রহমান, আতিয়ার রহমান, মামুন হোসেন, জাকির সরদার, টিপু সুলতান ও মো. আহাদ গাজী। আসামিদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share.