ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী তাদের উভচর অ্যাসল্ট শিপ ইউএসএস বনহোম রিচার্ডকে ডি-কমিশন এবং ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাহাজটি মেরামত করতে কয়েকশ’ কোটি ডলার লাগতে পারে, এমন পর্যালোচনার পর মার্কিন নৌবাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন মেরিন কর্পসের এফ-৩৫বি জেট বিমানের জন্য জায়গা করে দিতে জুলাই মাসে সান ডিয়েগো বন্দরে নোঙর করে রাখা হয়েছিল ইউএসএস বনহোম রিচার্ডকে। কিন্তু তখন মার্কিন নৌবাহিনীর আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহতম আগুন লাগে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজটি সংস্কার করতে ২৫০ কোটি থেকে ৩২০ কোটি ডলার খরচ হবে। আর সংস্কারকাজের জন্য পাঁচ থেকে সাত বছর সময়ও লাগবে। তারা বলছেন, জাহাজটির প্রায় ৬০ শতাংশ পুনপ্রতিস্থাপন করতে হবে। ইউএসএস বনহোম রিচার্ডের অক্ষত অংশ দিয়ে এটিকে হাসপাতাল শিপের মতো অন্য কোনও জাহাজে রূপান্তর করা যায় কিনা সেটিও খতিয়ে দেখেছে নৌবাহিনী। কিন্তু এতে ১০০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। অথচ নতুন একটি হাসপাতাল শিপ তৈরি করতে এরচেয়েও কম খরচ হবে। তবে ইউএসএস বনহোম রিচার্ডকে ডি-কমিশন এবং ভেঙে ফেলতে খরচ হবে মাত্র ৩ কোটি ডলার। আর এই কাজ সম্পন্ন করতে ৯ থেকে ১২ মাস সময় লাগতে পারে। মার্কিন নৌবাহিনীর আঞ্চলিক মেইনটেন্যান্স সেন্টারের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এরিক ভার হেইজ বলেছেন, জাহাজটিকে ডি-কমিশন করার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি আমরা। জুলাইয়ে চারদিন ধরে জ্বলার পর যখন ইউএসএস বনহোম রিচার্ডের আগুন নেভাতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন। ১৯৯৮ সালে কমিশন জাহাজটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ৭৫ কোটি, আজকের হিসাবে যা প্রায় ১২০ কোটি ডলার অর্থের সমপরিমাণ।
মার্কিন রণতরী বনহোম রিচার্ড ভেঙে ফেলা হচ্ছে
0
Share.