ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনা উপস্থিতি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়েছে এবং উগ্রবাদের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি কাতারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘দোহা ফোরামে’ দেয়া বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন। জারিফ বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে শক্তির ভারসাম্যহীনতা গোটা অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কোনো কোনো আঞ্চলিক দেশ পারস্য উপসাগরের ওপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এই ভারসাম্যহীনতাকে সুযোগে পরিণত করার চেষ্টা করছে। অথচ এই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সম্পূর্ণ ভুল হিসাব-নিকাশের ওপর ভিত্তি করে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন অবরোধ এবং ইয়েমেনের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এ ধরনের ভুল হিসাব-নিকাশের পরিণতি যা এ অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, এই ভুল হিসাব-নিকাশের কারণে আমেরিকার মতো পরাশক্তি পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী করার সুযোগ পাচ্ছে যা বিপর্যয় সৃষ্টির আরেকটি বড় উৎস। মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের ব্যবসার প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্বের এক চতুর্থাংশ সমরাস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিক্রি হয়েছে এবং বিক্রেতাদের মধ্যে আমেরিকা সবচেয়ে বেশি মারণাস্ত্র এ অঞ্চলের দেশগুলোতে রপ্তানি করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যে হরমুজ শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়েছিল সে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে জাওয়াদ জারিফ বলেন, হরমুজ প্রণালীতে পারস্য উপসাগরীয় সবগুলো দেশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে এই সম্মিলিত স্বার্থকে কেন্দ্র করে একটি শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
মার্কিন সেনা উপস্থিতি পারস্য উপসাগরে বিপর্যয় ডেকে এনেছে: জারিফ
0
Share.