মিনায় হজযাত্রীরা, শুরু হলো হজের মূল কার্যক্রম

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার হজ হচ্ছে সীমিত পরিসরে। হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে। এবার হজ পালনের সুযোগ পাওয়া ভাগ্যবান এক হাজার হজযাত্রী এরই মধ্যে মক্কা থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় অবস্থান করছেন।নিয়ম অনুযায়ী, পবিত্র নগরী মক্কা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে মিনায় এদিন জোহরের আগেই হজে অংশগ্রহণকারীদের পৌঁছানোর কথা। সেখানে তাঁরা পাঁচ ওয়াক্ত (জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং হজের দিন ফজর) নামাজ আদায় করবেন। মহামারি করোনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক স্বাস্থ্য সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১৪৪১ হিজরির পবিত্র হজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার হজযাত্রী মিনায় পৌঁছেছেন। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণকারীদের পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ইতোমধ্যে মিনায় নেওয়া হয়েছে। মিনায় অবস্থানকারী হজ পালনকারীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবেন। সেখানে তাঁরা সকাল থেকে দিনভর ইবাদত-বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন তাঁরা। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার সীমিত পরিসরে অল্পসংখ্যক মুসল্লি হজে অংশগ্রহণ করেছেন। এ বছর হজের জন্য নির্বাচিত হজ পালনকারীদের আগে থেকেই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের ব্যাগপত্র জীবাণুমুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করেছেন।এর আগে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকর্মীরা পবিত্র নগরী কাবা শরিফের চারদিকে জীবাণুমুক্তকরণ করতে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন। এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় এবং কাবা শরিফের পরিচ্ছন্নতায় কোনো হজ পালনকারীকেই কাবা শরিফ স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না। যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে তাওয়াফ ও নামাজে অংশগ্রহণ এবং হজের সব কার্যক্রম পালন করতে হবে। মিনায় পাথর নিক্ষেপসহ সব কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। মিনায় পাথর নিক্ষেপের নুড়ি হজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যাগের মাধ্যমে সরবরাহ করবে।আগামীকাল ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সব হজ পালনকারী আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হবেন।সৌদি সরকারের এমন কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা মেনে হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজে অংশগ্রহণকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।এবার অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণের বিষয়টি বাছাই করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সৌদিতে বসবাসকারী ১৬০ দেশের লোকজন হজ পালনের সুযোগ পেলেন।

Share.