বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা। হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির বিকট শব্দ ভেসে আসে সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের উখিয়ার থাইংখালীতে। সবার ঘুম ভেঙে যায় আতঙ্কে। গুলির বিকট শব্দে কাঁপতে থাকে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসে ১৩৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি। সেদিন সবচেয়ে বেশি গোলাগুলি হয়েছে সেখানে। গতকাল বুধবার গোলাগুলির শব্দ কম শুনতে পেয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ভোর না হতেই বৃহস্পতিবার আবারও গুলির বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। রহমতেরবিল সীমান্ত থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে ৬৪ জন বিজিপি সদস্য। সেখানেও গতকাল গোলাগুলি হয়। গত চারদিনে ২৬৪ জন মিয়ানমার সেনাসহ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়। পালংখলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড রহমতেরবিলের ইউপি সদস্য আলতাছ আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি গোলাগুলি হয়েছে আমার এলাকায়। বুধবারও মাঝেমধ্যে গুলির শব্দ শুনা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গুলির বিকট শব্দে ঘুম ভেঙেছে। আমার এলাকাবাসী খুবই ভয়ে আছে। সীমান্ত লাগোয়া ঘরগুলো থেকে কয়েকটি পরিবারে নারী এবং শিশুরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।’
মিয়ানমারের গুলির বিকট শব্দে কাঁপছে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত
0
Share.