ঢাকা অফিস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। রবিবার (২৬ জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসাসেবা প্রদান, সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উম্মোচন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা আপডেট হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু আপিল আছে, যারা ইতোপূর্বে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সেগুলোর শুনানিতে যদি তারা টেকেন, তারা থাকবেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে নতুন করে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করতে পারবে কি না? বাংলাদেশের ভেতরে যারা আছেন তাদের মধ্যে বীরাঙ্গনা ছাড়া কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদন করতে পারবেন না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এটা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রবাসে যারা আছেন তাদের জন্য এ সুযোগটা খোলা আছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা খোলা থাকবে। তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে আমাদের নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নেই- এ কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবে না। আমরাও পারবো না। আমরা এক বছর আগেই প্রকাশ করে দিয়েছি, কোন থানায় কে মুক্তিযোদ্ধা। কেউ যদি অভিযোগ না করে আমাদের তো কিছু করার নেই।’ মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ১১ হাজারেরও বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সব (মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ) বাতিল হয়ে গেছে, এটা তো আমরা বলতে পারবো না। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে উপজেলা। উপজেলা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়- এটা আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবো না। কারণ যারা দায়িত্বে থাকেন তারা ভুল করেন না, অন্যায় করেন না, এমন নয়। তবে সেই ব্যাপারে আইনে আছে, কেউ যদি মনে করেন আমি উপজেলায় ন্যায়বিচার পাইনি, তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন। একইভাবে উপজেলায় কাউকে যদি পক্ষপাতিত্ব করে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেয় বা সুপারিশ করে থাকে। তাদের সুপারিশে যদি গেজেটও হয়ে থাকে, এখনও সেই সুযোগ আছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার।’