মুনিয়ার লেখা ৬ ডায়েরিতে প্রচণ্ড মানসিক কষ্টের বর্ণনা

0

ঢাকা অফিস: গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে নুসরাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৬টি ডায়েরি। উদ্ধার হওয়া সেই ডায়েরিগুলোতে সরাসরি সুইসাইড নোট না থাকলেও আসামি বসুন্ধরার এমডি আনভীরের সঙ্গে মুনিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সম্পর্কের স্বীকৃতি আদায় নিয়ে নানা বর্ণনা আছে বলে জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডায়েরিতে বিভিন্ন দিনের যে চিত্র আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার ভেতরে মানসিক দ্বন্দ্বের যে উদ্ভব সেটা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। সরাসরি সুইসাইডাল নোট না লিখলেও তার প্রচণ্ড মানসিক কষ্টগুলো ছিল সেগুলো এখানে ফুটে উঠেছে।তিনি জানান, মুনিয়ার দেহে হত্যার মতো কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত করা হচ্ছে।এদিকে মুনিয়ার পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড দাবি করছে। সুরতহালের সময় উপস্থিত থাকা তার বোনের দাবি, আত্মহত্যার কোনো আলামত তিনি দেখেননি।মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, একটা মানুষ যদি ফাঁস দেয় তাহলে হাত-পা ছুড়াছুড়ি করলে টুলটা পড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু টুলটা পড়েনি। টুলের দুইপাশে তার পা ঝুলে রয়েছে আর পা বাকানো ছিল এবং বিছানাও পরিপাটি ছিল। উনি এখনো দেশে থাকা সত্ত্বেও প্রসাশন কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না এটা সবাই জানতে চায়।এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আশা করেন তিনি।গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে নুসরাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত করছে পুলিশ।

Share.