শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

মুসলমানদের দানের জমি দরকার নেই: ওয়াইসি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন ও লোকসভার এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বাবরি মসজিদ মামলার রায়ের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মুসলমানদের দানের পাঁচ একর জমির প্রয়োজন নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে। শনিবার বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ভূমিতে একটি মন্দির নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন  প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিতর্কিত স্থানটি সরকারি ট্রাস্টকে দেওয়া হবে। বাবরি মসজিদের ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমি পাবে হিন্দুরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করবে সরকার। পরে সেখানে মন্দির প্রাঙ্গণ নির্মাণ করবে তারা। পরিবর্তে অযোধ্যার অন্য স্থান থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হবে মুসলমানদের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াইসি জানান, তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন এবং মুসলমানদের দানের জমি দরকার নেই। তিনি বলেন, এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ কিন্তু একেবারে অব্যর্থ না। সংবিধানের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। আমাদের পাঁচ একর দানের জমি প্রয়োজন নাই। পাঁচ একর জমির প্রস্তাব আমাদের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে যাবেন না। প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেছেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, কংগ্রেস নিজের আসল রূপ দেখিয়েছে। কংগ্রেস যদি তাদের দায়িত্ব পালন করত এবং নরশিমা রাওকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিত তাহলে এখনও সেখানে মসজিদ থাকত। অযোধ্যায় মোগল আমলে তৈরি বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলার পর ভারতে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় কমবেশি দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। মসজিদটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি গুঁড়িয়ে দেয় কট্টরপন্থী হিন্দুরা। তাদের দাবি, বাবরি মসজিদের জায়গাতেই ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল। রামমন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। তবে মুসলিমরা বলছেন, মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির কোনও প্রমাণ নেই। তাদের দাবি, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বলপূর্বক ঐতিহাসিক মসজিদটি ভেঙে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। তাই সেখানে মসজিদটি পুনঃস্থাপনই যৌক্তিক। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরশিমা রাও।

Share.