মেজর সিনহা নিহতের বিচার কাজ পেছাল

0

ঢাকা অফিস: মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের এক বছর পূর্ণ হলো। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতে মামলাটির বিচারকাজ পিছিয়ে গেছে।গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।এ ঘটনায় ওই বছরের ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্য এবং সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের মামলার সাক্ষী স্থানীয় তিনজন বাসিন্দাকে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অপর ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।এ হত্যা মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এতে টেকনাফ থানার সাবেক দুই পুলিশ সদস্যকে নতুন করে আসামি করা হয়। তারা হচ্ছেন- কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা।পরে এদের মধ্যে কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া মামলার পলাতক আসামি সাগর দেবও গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন।গত ২৭ জুন মামলার নির্ধারিত দিনে আদালত স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত দিন ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই স্বাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।কোভিড পরিস্থিতির উপর এ মামলার কার্যক্রম নির্ভর করছে উল্লেখ করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলে, বর্তমান অবস্থায় আমরা খুব অস্বাভাবিক। তবে তদন্তসহ মামলার সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।মামলার বাদীও তদন্ত নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হলেই আমরা সন্তুষ্ট। তবে প্রকৃতপক্ষে যখন বিচার কাজ শুরু হবে তখনই আমরা সন্তুষ্ট হব।এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের দাবি, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে নানা অসঙ্গতি রয়েছে।তিনি বলেন, ‘ওসি প্রদীপ নির্দোষ। তাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share.