ঢাকা অফিস: ৮ মাস ধরে বন্ধ থাকা মেডিকেল শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। থমকে আছে আড়াই হাজার ইন্টার্ন চিকিৎসক যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া। পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামাল দিতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সুপারিশ শিক্ষক ও চিকিৎসক নেতাদের। তবে চিকিৎসা অনুষদের ডিনরা বলছেন, তারা এখনই প্রস্তুত নয়। ৫ বছরের শিক্ষা জীবনের শেষ পরীক্ষার একটিতে নির্ধারিত নম্বর অর্জন করতে পারেননি মেডিকেল শিক্ষার্থী তমা। এরপর ৮ মাস ধরে ঝুলে আছে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। শেষ বর্ষে গাইনি, সার্জারি ও মেডিসিন; এ তিন বিষয়ে পরীক্ষা পাসের পরই ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান তরুণ চিকিৎসকরা। আর মেডিকেল কলেজগুলোতে বছরে দুই বার পরীক্ষা হয়। নভেম্বর সেশনে কোনো কারণে অংশ না নেয়া বা অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে পরীক্ষা দিতে পারেন মে সেশনে। একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, পাস করতে পারছি না পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত। ইন্টার্ন করতে পারছি না পাস না করা পর্যন্ত। কিন্তু কোভিডের মতো সংক্রামক রোগের বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এমন একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠান কতটা সম্ভব? স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, এটা যৌক্তিক দাবি, কারণ একটা সাবজেক্টের জন্য ওরা কতদিন অপেক্ষা করবে? ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ইন্টার্নি তো এক বছরের জন্য। এরপর ওদের ডিউটি শেষ। স্বাভাবিক সংকট তো হবেই। কিন্তু অনুষদের প্রধানদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিইউপি ডিন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, যত তাড়াতাড়ি নেয়া সম্ভব নেয়ার চিন্তা করছি। চবি চিকিৎসা অনুষদ ডিন অধ্যাপক ডা. সেলিম বলেন, মেডিকেল সাইন্সের পরীক্ষা হলে তো আগে কলেজ খুলতে হবে। ছাত্রদের রোগীদের কাছে যেতে হবে। ঢাবি চিকিৎসা অনুষদ ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সরকার মেডিকেল কলেজগুলো খুলে দেবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। পরীক্ষা দেব কিনা। দেশের সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেশাদার চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রতিবছর দায়িত্ব পালন করেন প্রায় ৮ হাজার ইন্টার্ন চিকিৎসক।
মেডিকেল শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় পরীক্ষার, প্রস্তুত নয় কলেজ
0
Share.