স্পোর্টস ডেস্ক: বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা লা লিগা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো না দিলে কোনো ক্লাবের পক্ষেই তাকে কেনা সম্ভব হবে না। রোববার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।২০২১ সালে মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে লা লিগাও একটি পক্ষ হিসেবে ছিল। ফলে তাদের এই বিবৃতির পর কাতালান জায়ান্টদের জন্য মেসিকে ধরে রাখার সুযোগ তৈরি হলো। অন্যদিকে বড় ধাক্কা খেলেন মেসি ও তার আইনজীবীরা। গত মঙ্গলবার ব্যুরোফ্যাক্সের (প্রত্যয়নপত্র) মাধ্যমে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার কথা জানিয়ে মেসি বলেন, চুক্তিতে যে ক্লজ আছে যা তাকে মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ দিয়েছে, সেটা প্রয়োগ করতে চান। কিন্তু বার্সার দাবি, এই ক্লজের মেয়াদ গত ১০ জুন শেষ হয়েছে। ফলে যেতে হলে তাকে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে। স্পেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শেষ বছরের ক্ষেত্রে ক্লজ প্রযোজ্য হবে না। ‘কাদেনা সের’ও ‘এল লারগুয়েরো’র রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত মেসির ক্লজ প্রযোজ্য ছিল। শেষ মৌসুমের ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু লা লিগার বিবৃতির পর বিষয়টা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল। ফলে মেসিকে কিনতে আগ্রহী ক্লাবকে তার রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিতেই হবে। তবে মেসির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কারণে এবার মৌসুম শেষ হয়েছে দেরিতে। তাহলে ক্লজের মেয়াদ শেষ হয় কী করে? যদিও মেসি নিজে এখনো বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি। তবে বার্সার অনুশীলন শুরুর আগে তিনি বাধ্যতামূলক পিসিআর টেস্টে হাজির না হয়ে উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) দলের অনুশীলনেও হাজির থাকবেন না বলে জানা গেছে। দ্য স্পোর্টস বলছে, নিয়ম ভাঙলে দল তাকে ১০ থেকে ৩০ দিনের জন্য বহিষ্কারও করতে পারে। সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাটা হবে তার। ফুটবল লিকের মতে, সপ্তাহে নয় লাখ ৮৮ হাজার পাউন্ড আয় করেন মেসি। সে অনুযায়ী মাসে এক মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তার।
মেসিকে কিনতে হলে লাগবে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো: লা লিগা
0
Share.