ঢাকা অফিস: কুমিল্লার সদর উপজেলার ধনুয়াখলা গ্রাম থেকে কাকলী আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের কামারবাগ গ্রামের মো. শাহ আলম কালু মিয়ার মেয়ে কাকলী আক্তারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে ইউছুফের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের সংসারে দুটি মেয়ের জন্ম হয়। মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাকলী আক্তারকে প্রায়ই মারধর করতো। বৃহস্পতিবার সকালে কাকলী আক্তার তার মা সুফিয়া বেগমকে ফোন দিয়ে তাকে মারধরের বিষয়টি জানান। দুপুরে আবার ফোন করে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে মাকে জানান কাকলী। বিকালে তার মা সুফিয়া বেগম কাকলীর শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির আঙিনায় কাকলীর লাশ পড়ে আছে। প্রতিবেশীরা জানান, কাকলীকে তার স্বামী ও শ্বশুর কাবিলা ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের সদস্যরা কাকলীর লাশ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কোতয়ালি থানাধীন নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। তিনি জানান, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মেয়ে জন্ম দেওয়ায় লাশ হল কাকলী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক
0
Share.