যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন শাজাহান সিরাজ থাকবেন:ভার্চুয়াল স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ

0

ঢাকা:  যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের নায় শাজাহান সিরাজ থাকবে আমাদের মাঝে। তিনি তার কর্মের মধ্যদিয়ে, রাজনিতির মধ্য দিয়ে তিনি বেচে থাকবেন। যে যতই চেষ্টা করুক ইতিহাস থেকে শাজাহান সিরাজকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়াপরসনের উপেদেষ্টা ও সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালাম। শুক্রবার (১৭ জুলাই) জাতীয় বীর, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক জননেতা শাজাহান সিরাজ স্মরণে ভাসানী টিভি আয়োজিত ভার্চুয়াল স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। যার কাছে মাইক তারাই তাদের মত করে ইতিহাস নির্মান করে। সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মান করতে ব্যর্থ আমরা। কাউকে বাদ দিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস নির্মান সম্ভব নয়। রব-সিরাজ-সিদ্দিকী-মাখন কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইসতেহার পাঠক এটাই সবচাইতে বড় সত্য।আবদুস সালাম বলেন, স্বাধীনতা সকল কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকে দিতে গিয়ে সবাইকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে এটাই আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু প্রধান নেতা হলেও তার পাশে অনেকেই ছিলেন। তাদেরকেও যথাযথ সম্মান দিতে হবে। তানা হলে ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেকমন্ত্রী শাজাহান সিরাজের মূল পরিচয় নয। তার মূল পরিচয় হলো, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীতার ইশতেহার পাঠক, স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজ পতাকা প্রতিষ্ঠার নায়ক। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে স্বাধীনতার জন্য প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মওলানা ভাসানী-সহ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, কমরেড মনি সিং, শহীদ জিযা, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, আ স ম রব, শাজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নুরে আলম সিদ্দিকী সকলকেই যথযথ সম্মান প্রদর্শণ করতে হবে।স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শাজাহান সিরাজ যে অবদান রেখে গেছেন, মানুষ তা আজীবন মনে রাখবে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নির্মাণের দীর্ঘ পথযাত্রায় তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। সেই লক্ষ্যে ছাত্র-যুবসমাজকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত ও সম্পৃক্ত করার উজ্জ্বল প্রেরণায়ও তার অবদান কোনভাবে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, শাজাহান সিরাজ মুক্তিযোদ্ধা না হলে কে মুক্তিযোদ্ধা ? আজ বিভক্ত নয়, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে, জনগনের মুক্তির প্রয়োজনে। আমাদের রাজনীতির নেপথ্য নায়ক তিনি। হাজার হাজার তরুণের মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপন করে দিয়েছেন তিনি।বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (একাংশ) মহাসচিব এডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল।এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শাজাহান সিরাজের প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ সঙ্কটের মুখোমুখি। দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের কবলে রাষ্ট্র আজ ক্ষত-বিক্ষত। প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে জাতীয় সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতিকে সঙ্কট থেকে উত্তোরন ঘটনো।জাতীয় দল চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী শাজাহান সিরাজ আমাদের অহঙ্কার। তাদের প্রদর্শিত পথেই এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকের প্রজন্মকে তার সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম রচনা করা।এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার অন্যতম তেজোদীপ্ত প্রাণ শাজাহান সিরাজের মৃত্যুতে সমগ্র দেশপ্রেমিক শক্তিই শোকে মুহ্যমান। জাতীয় বীর এই নেতাকে যথাযথ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। শাজাহান সিরাজের সাহসী জীবন থেকে অনুপ্রেরনা গ্রহন করে রাতের আধারে ভোট চুরির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারের গণআন্দোলন গড়ে তুলতে তার সাহসী জীবন আমাদের পথ দেখাবে।

Share.