যারা ভেঙেছে তাদের টাকায় মন্দির পুনর্নিমাণের নির্দেশ পাকিস্তান আদালতের

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কারাক-এ বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ভাঙা মন্দির পুনর্নিমাণের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। মন্দিরে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।শ্রী পরমহংস জী মহারাজ সমাধি মন্দির’ ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) আদালতে শুনানি শুরু হয়। এ সময় প্রধান বিচারক গুলজার আহমেদ ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মন্দিরটি পুনর্নিমাণে সরকারকে আদেশ দেন। তবে সহিংসতায় দায়ী স্থানীয় মুসলিম নেতা ক্ষতিপূরণ বহন করবে বলে জানান আদালত। মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরে স্থানীয়দের উস্কে দেয়ার পেছনে ধর্মীয় নেতার হাত রয়েছে বলে জানা যায়।গত ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় ধর্মীয় নেতার ডাকে বেশ কয়েকজন মানুষ কারাক জেলার একটি গ্রামে বহু বছরের পুরনো মন্দিরের দিকে যান। এক পর্যায়ে মন্দিরে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।১৯২০ সালে নির্মিত মন্দিরটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘ দশ বছর বন্ধ ছিল। আদালতের নির্দেশেই এর সংস্কার ও সম্প্রসারণে কাজ চলছিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ৩.২ লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসবাস।পাকিস্তান ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমি আইনে বেশ কঠোর অবস্থানে। যারা ধর্ম অবমাননা করে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তারপরও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে থামছে না সহিংসতা। ধর্ম অবমাননা আইনকে কেন্দ্র করে মামলা, হত্যা, সাজার ঘটনাও ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম- ইউএসসিআরএফ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৮০ জনের বেশি মানুষ ‘ব্লাসফেমির অপরাধে’ কারাগারে আটক। তাদের অর্ধেকই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি।মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সংখ্যালঘুদের দমনে এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি মুসলিমরাও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে একজন আরেকজনকে ব্লাসফেমি মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। এতে দেখা দিচ্ছে সমাজিক বিশৃঙ্খলা।

Share.