ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রেক্সিট নিয়ে দোষারোপের খেলা থামাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক টুইটে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, বরিস জনসন; দোষারোপের খেলায় কেউই বিজয়ী হতে পারে না। প্রধান মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বার্নিয়ার বলেন, আজ হোক কিংবা কাল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি সমাধান বের করতে হবেই। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জন ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে চুক্তিকে বাদ দিতে চাচ্ছেন না তিনি। যদিও খুব বেশি উন্নতি হয়নি। তবে বরিস জনসন বলেন, তিনি এখনও চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী। বৃহস্পতিবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভার্দেকারের সঙ্গে দেখা করে অচলাবস্থা কাটানোর ব্যাপারে কথা বলবেন তিনি। ব্রেক্সিট ভবিষ্যৎ নির্ধারণে পার্লামেন্টে বিশেষ জরুরি বৈঠক ডাকা হচ্ছে। স্যাটারডে সিটিং নামে পরিচিত বিশেষ এই অধিবেশনে আগামী ১৯ অক্টোবর ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ১৯৩৯ সালের পর থেকে এনিয়ে পঞ্চমবারের মতো আহ্বান করা হচ্ছে বিশেষ এই অধিবেশন। ৩১ অক্টোবরের ব্রেক্সিট চূড়ান্ত করতে ইইউ-এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক সম্মেলনের পর শনিবারের ওই বিশেষ অধিবেশনে বসবেন আইনপ্রণেতারা। ওই অধিবেশনে ইইউ সম্মেলনে কোনও চুক্তি চূড়ান্ত হলে আইনপ্রণেতাদের তা অনুমোদনের আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর চুক্তি না হলে বেশ কিছু বিকল্প উপস্থাপন করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বিকল্পের মধ্যে রয়েছে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বা পুরো ব্রেক্সিটই স্থগিত করে দেওয়া।
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সমালোচনা ইইউর
0
Share.