বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই ব্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের আমাজন ও অ্যাপল। কিন্তু গেল এক দশকের ব্যবধানে চীনা ব্র্যান্ডগুলোও এখন ইউরোপকে ছাড়িয়ে শীর্ষ তালিকায় উঠে আসছে। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে কান্তার জরিপে বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ইউরোপের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর চেয়েও দামি।১৯৯৪ সালে আমাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ বেজস। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডমূল্য ৬৮ হাহার ৪০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলের ব্র্যান্ডমূল্য ৬১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। স্টিব জবসের হাতে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। সার্চ ইঞ্জিন গুগলের বাজারমূল্য ৪৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। চতুর্থ অবস্থানে থাকা মাইক্রোসফটের মূল্য ৪১ হাজার কোটি ডলার।বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে টেনসেন্ট। চীনের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ভিডিও গেমস কোম্পানিটি বর্তমানে দেশটির সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ২৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার হলেও এক বছরে মূল্য বেড়েছে ৬০ শতাংশ।মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আছে ষষ্ঠ স্থানে। এই কোম্পানির বাজারমূল্য গত বছরের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে আছে চীনের আলিবাবা। ই-কমার্স কোম্পানিটির বাজারমূল্য ২৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে ভিসা, নবম অবস্থানে ম্যাকডোনাল্ড’স এবং দশম অবস্থানে মাস্টারকার্ড।চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট পিনদাওদো ও মিতুয়ানের নেতৃত্বে পাঁচটি ব্র্যান্ডের এক বছরে মূল্য বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাকি তিনটি হচ্ছে চীনের মোতাই, টিকটক এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেসলা। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত টেসলা বাজারের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল এবং গাড়ি কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ ব্র্যান্ড। কান্তার জানায়, এক বছরের ব্যবধানে এই কোম্পানির বাজারমূল্য ২৭৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।কান্তারের জরিপে বলা হয়, চীনের বড় ব্র্যান্ডগুলো এক দশকের ব্যবধানে ইউরোপীয় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৪ শতাংশ এখন চীনাদের দখলে, এক দশক আগে ছিল ১১ শতাংশ। ইউরোপীয় ব্র্যান্ডগুলোর দখলে বর্তমানে ৮ শতাংশ, যা এক দশক আগে ছিল ২০ শতাংশ। এ ছাড়া ৭৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। শীর্ষ ইউরোপীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে ফ্রান্সের লুইস ভুয়েটন ২১তম অবস্থানে, জার্মানির এসএপি সফটওয়্যার গ্রুপ ২৬তম অবস্থানে। তালিকায় থাকা একমাত্র ব্রিটিশ ব্র্যান্ড ভোডাফোন ৬০তম অবস্থানে।কান্তারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে তালিকায় উঠে আসা ১০০ ব্র্যান্ডের মোট মূল্য ৪২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা অভাবনীয় অর্জন। এটি প্রমাণ করছে করোনার মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি বিধ্বস্ত হলেও বড় ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় থাকা বিশ্বের অন্যতম ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের অবনতি হয়েছে। গত বছর স্যামসাংয়ের অবস্থান ছিল ৪০তম, কিন্তু এ বছর তা থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে হয়েছে ৪২তম।
যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেবে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি
0
Share.