যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আইডিএফসি ফান্ডের আওতায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিযোগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। সোমবার (২৯ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপাকালে এ আহ্বান জানান তিনি।মঙ্গলবার (৩০ জুন)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ সব জানানো হয়েছে। টেলিফোনে আলাপাকলে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।এসময় মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের অনুরোধ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের সহজ লভ্যতার কারণে এ দেশে বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।’যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে দুই বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল করায় এ খাতে কর্মরত শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যার অধিকাংশ মহিলা।মাইক পম্পেও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাহায্যের জন্য ৪৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। তিনি করোনা মাহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্র আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে মিয়ানমার সময়ক্ষেপণ করছে। সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা হিসেবে ৮২০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, মানবপাচার রোধে টিআইপি রিপোর্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধাপে উন্নয়নের প্রশংসা করেন মাইক পম্পেও। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাইক পম্পেওকে অনুরোধ করেন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানায়, ফোনালাপের সময় করোনা মহামারি মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন করে বাংলাদেশের ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উঠে আসে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

Share.