যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় এক নারী ও তার তিন মাস বয়সী শিশুপুত্রসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও এক কিশোরী। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডার পোল্ক শহরে এ হামলা ঘটে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।পোল্ক শহরের শেরিফ (প্রধান আইন কর্মকর্তা) গ্র্যাডি জাড’র বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ওই হামলাকারীও আহত হয়েছেন। বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ওই ব্যক্তি।হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে ১১ বছর বয়সী সেই মেয়েটিরও, যার দেহে সাতটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম ব্রায়ান রিলে। তার বয়স ৩৩ বছর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনা সদস্য ছিলেন তিনি। ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় দেহরক্ষী ও নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রিলে।ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জাড সাংবাদিকদের বলেন, যে বাসভবনে এই হামলা হয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন রিলে। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে তার তর্ক শুরু হয়।তর্কের এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে রিলে এবং এতে ওই বাসভবনের ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী (বয়স ৩৩) এবং তার কোলে থাকা তিন মাসের শিশু সন্তান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় ওই বাড়ির ১১ বছর বয়সী মেয়েটি।ওই বাসভবন থেকে বের হওয়ার সময় পাশের একটি বাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকেও হত্যা করেন রিলে। পুলিশের ধারণা, ওই বৃদ্ধা সম্পর্কে মৃত ওই নারীর মা। তাছাড়া ওই পরিবারের কুকুরটিকেও গুলি করে হত্যা করেন তিনি।এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন রিলে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। এর ফলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।’ঠিক কী কারণে ব্রায়ান রিলে এমন একটি নৃশংস হামলা সংঘটিত করলেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে জাড বলেন, ‘রিলে মানসিক চাপ ও হতাশায় (পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার) ভুগছিলেন। তার বান্ধবীর সঙ্গে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা হয়েছে। তিনি (বান্ধবী) জানিয়েছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন রিলে।’

Share.