যে কারণে জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন আনল অস্ট্রেলিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় সংগীতে সংশোধন করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিশ্বের প্রাচীনতম চলমান সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতীয় সংগীতের কিছু শব্দ পরিবর্তন করা হয়েছে। অসি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আজ নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই পরিবর্তীত জাতীয় সংগীত কার্যকর হয়েছে।অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতে এতদিন দেশকে ‘তরুণ ও মুক্ত’ বলে প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে এই শব্দগুলো পরিবর্তন করে ‘আমরা এক ও মুক্ত’ করা হয়েছে। ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে অসি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিরবধি চলমান প্রাচীন আদিবাসীসমৃদ্ধ এক ভূখণ্ডে বসবাস করি। আমাদের এখানে তিনশর বেশি আদি জাতিসত্ত্বা ও ভাষাভাষী দলের কথকতা রয়েছে।’   ‘আর আমাদের জাতীয় সংগীতে এর প্রতিফলন থাকা উচিত। (জাতীয় সংগীতে) যে পরিবর্তন আমরা করেছি এবং আজ যে ঘোষণা আমরা দিয়েছি, তাতে আমি মনে করি, আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে’, যোগ করেন অসি প্রধানমন্ত্রী।

আদিবাসীদের সঙ্গে মিলমিশ করতে বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ৫০ হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে আদিবাসীদের আগমন ঘটে।অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারে ১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে মনুষ্যবাহী প্রথম জাহাজবহর নোঙর করে। ওইসব জাহাজে করে মূলত দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী ও সেনাদের পাঠিয়েছিল যুক্তরাজ্য। ওই দিনটি উপলক্ষ্যে ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় ছুটির দিন বা ‘অস্ট্রেলিয়া দিবস’। তবে কিছু আদিবাসীর কাছে দিনটি ‘হানাদারের অনুপ্রবেশ দিবস’।

যুক্তরাষ্ট্রে গেল বছর শুরু হওয়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নামে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি নৈতিক সমর্থনে মানবাধিকার আন্দোলনের মধ্যে আদিবাসীদের প্রতি নতুন করে মনোযোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় সংগীতের শব্দ পরিবর্তনের ধারণা প্রথম আসে মূলত নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের সরকারপ্রধান গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ানের কাছ থেকে। গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান গতবছর বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের শব্দমালার মধ্যে ‘গর্বিত প্রাচীন জাতিসত্ত্বা’কে উপেক্ষা করা হয়েছে। এরপরই জাতীয় সংগীতের ভাষা পরিবর্তনে পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া।

Share.