ডেস্ক রিপোর্ট: শব-ই-বরাতের যে বিশেষ মহিমা শব-ই-বরাতের হাদিসের নাম হলো, মধ্য-শা’বান এর রাত। আল্লাহ তালা এই রাতে হিংসুক, মুশরিক ব্যাতীত সকলকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেন। এই রাতের মূল আমল হলো নিজেকে শিরক ও হিংসা থেকে পরিচ্ছন্ন করা। যদিও এই রাতকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোন পদ্ধতির কথা কোথাও বর্ণিত হয় নি। এ রাতে, আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য বিশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। “শব” শব্দের মানে রাত এবং “বরাত” শব্দের অর্থ মুক্তি, তাই শবে বরাত মানে হলো ‘মুক্তির রাত’। এটি এমন একটি রাত, যেখানে আল্লাহ তাআলা তার অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা ও মুক্তি প্রদান করেন। শাবান মাসের পঁচিশ তারিখে এই রাত উদযাপিত হয়, যা মুসলিম উম্মাহর গুনাহ মাফের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ প্রদান করে। পবিত্র কোরআনে সরাসরি শবে বরাতের গুরুত্ব উল্লেখ করা না থাকলেও, হাদিসের মাধ্যমে এই রাতের বিশেষত্ব এবং মাহাত্ম্য স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। যখন শাবান মাসের পনেরতম রাত আসে, আল্লাহ আসমান-জমিনের দিকে তাকান এবং বলেন: ‘হে আমার বান্দারা! কেউ মাফ চায়, আমি তাকে মাফ করি, কেউ রিজিক চায়, আমি তাকে রিজিক দিই।'” (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং ৩৫২৭) Ezoic এ হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করেন, তাদের দুঃখ দূর করেন এবং তাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বয়ে আনতে সাহায্য করেন। তাছাড়া, একাধিক হাদিসে এ রাতে ইবাদত করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। শব-ই-বরাতের রাতেই আল্লাহ তাআলা প্রতি বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং সেই বছরের রিজিক, মৃত্যু, জন্ম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির লিখিত সিদ্ধান্ত দেয়। এই রাতের মূল উদ্দেশ্য হলো তাওবা করা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং আত্মা ও মনকে বিশুদ্ধ করা। মুসলমানরা এই রাতে নফল ইবাদত, দোয়া ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে, যাতে তারা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করতে পারে। এছাড়া, শব-ই-বরাতের রাতে বিশেষ কোন ইবাদতের পদ্ধতি সম্পর্কে হাদিসে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা না থাকলেও, এই রাতে বেশি করে নেক কাজ, দোয়া ও তাওবা করার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যে বিশেষ মহিমা শব-ই-বরাতের!
0
Share.