ডেস্ক রিপোর্ট: রকেট হামলায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা নিহতের পর ইরাকে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাতে ইরানপন্থী যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান। ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারবালা শহরে নির্মাণাধীন একটি বিমানবন্দরসহ চারটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এসব হামলায় কয়েকজন আহত হওয়ার কথা জানা গেলেও কারো মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর সেনা অবস্থান থাকা ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে গত বুধবার একাধিক রকেট হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়। গত বছরের অক্টোবর থেকে এনিয়ে ২২তম বার যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে হামলার ঘটনা ঘটে। গত বছরের শেষ দিকে এক রকেট হামলায় এক মার্কিন নাগরিক নিহত হলে ইরানপন্থী কাতাইব হিজবুল্লাহকে দায়ী করে পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এবারের হামলাটিও কাতাইব হিজবুল্লাহর অবস্থানে চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। প্রতিরক্ষামূলক সতর্কতা হিসেবে এই হামলা চালানোর দাবি করে পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব অস্ত্র মজুদাগারগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও যৌথ বাহিনীর ওপর হামলায় ব্যবহার করা হতো’। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাগদাদে রকেট হামলায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা হত্যার যথাযথ জবাব হিসেবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে সহায়তা দিতে যৌথ বাহিনীর অংশ হিসেবে ইরাকে রয়েছে ব্রিটিশ বাহিনী আর কেউ তাদের ক্ষতি করতে চাইলে কড়া জবাব দেওয়া হবে’। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারবালা শহরে নির্মাণাধীন একটি বিমানবন্দরেও বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালানো হয়। ইরাকের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চারটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান। আল জাজিরা জানিয়েছে, কাতাইব হিজবুল্লাহর পাশাপাশি ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীগুলোর জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সভুক্ত অন্য গ্রুপের অবস্থাননও বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে এক রকেট হামলায় এক মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার দুই দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরানপন্থী কাতাইব হিজবুল্লাহর পাঁচটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। ইরাক ও সিরিয়ার এসব ঘাঁটিতে হামলায় গোষ্ঠীটির বেশ কয়েক জন যোদ্ধা নিহত হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সেনা কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র।