ঢাকা অফিস: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, রমজানের সময় নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার সমন্বিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। করোনা মহামারির এই লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধকল্পে চলমান মোবাইল কোর্ট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গঠিত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ রোববার এসব কথা বলেন।নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ/প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম ও মো. সেলিম উদ্দিন, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সব খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করে। কোভিডকালীন আমাদের সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।শিল্পমন্ত্রী জানান, রমজানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিএসটিআইয়ের প্রতিটি জেলা কার্যালয়েও প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।চিনির দামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএসএফআইসির প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহরোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের মধ্যে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে হবে। ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাই রমজান মাসে আপনারা এ কৃত্রিম সংকট করবেন না। যারা ভেজাল করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
রমজানে নকল পণ্য সরবরাহ করলে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
0
Share.