রাখাইন ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো মানুষ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘শুদ্ধি অভিযানের’ ভয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালানো হবে স্থানীয় প্রশাসন কয়েক ডজন গ্রাম প্রধানকে এমন সতর্ক বার্তা দেয়ার পর ঘর ছাড়ছেন তারা।রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এই আদেশ জারির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে তাদের দাবি, এর প্রভাব অল্প কয়েকটি গ্রামে পড়েছে।একজন আইনজীবী এবং মানবাধিকার গ্রুপের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী। তবে তারা এখন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করছেন।বুধবার লেখা একটি চিঠিতে গ্রাম প্রধানদের ওই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছিল, যা রয়টার্স দেখেছে এবং রাখাইন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রী কর্নেল মিন থানের মাধ্যমে তা যাচাই করেছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি গ্রামে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের কাছে খবর আছে। তাদের কাছে ছাড়পত্র আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।রয়টার্সকে মিন থান বলেন, ছাড়পত্রের অভিযান বলতে চিঠিতে ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে অভিযানকে বোঝানো হয়েছে।শনিবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতাই ফেইসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার সামরিক বাহিনীকে ‘শুদ্ধি অভিযান’ পরিভাষাটি ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল।লোকজনকে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া চিঠিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে আরও মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রয়টার্সের ফোন কলের জবাব দেননি। রয়টার্স চিঠি প্রত্যাহারের নির্দেশও দেখেনি বলে জানিয়েছে।রাখাইনের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে পরিচালিত অভিযানকে বর্ণনা করতেও ‘শুদ্ধি অভিযান’ পরিভাষা ব্যবহার করেছিল মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ।ওই অভিযান চলাকালে হাজার হাজার রোহিঙ্গা গ্রামবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী নির্বিচার হত্যা ও অগ্নিসংযোগ করেছে।গত বছরের জুন থেকে ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অং সান সু চি সরকার। ওই অঞ্চলে চলমান অস্থিরতার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বর্তমান বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন রয়েছে সেখানকার মানুষ। মিয়ানমার সরকারের এমন ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

Share.