রাজনীতিবিদদের ঈদ, কে কোথায় জানুন

0

ঢাকা অফিস:  এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের সময় বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ ঢাকায় অবস্থান করবেন। তবে ঈদের নামাজ শেষে অনেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। পরপর দুবছর মহামারি করোনার কারণে ঈদে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি নেতারা। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভালো থাকায় বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ ঈদের আগে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এসেছেন, কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ঈদ করবেন ঢাকায় সরকারি বাসভবন গণভবনে। প্রতিবছর ঈদের দিন দলের নেতাকর্মী, বিদেশি কূটনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদুল ফিতরের দিনে প্রধানমন্ত্রীর কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি রাখা হয়নি। এবারও প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই। তবে ফোনে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে গণভবন সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই অডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী এবারও ঢাকায়ই ঈদ করবেন। দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। তবে গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাটিয়ে এসেছেন তিনি। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদও ঈদ করবেন রাজধানীতেই। ঈদের দিন বনানীর বাসায় কাটাবেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে নোয়াখালীতে নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখছেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে ঈদের পরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইল যাবেন তিনি। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান ঈদ করবেন ঢাকায়। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানও ঈদ করবেন ঢাকায়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ নিজ জেলা কুষ্টিয়ায় ঈদ করবেন। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় চলে গেছেন। আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ করবেন নিজ নির্বাচনী এলাকায়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঈদ করবেন গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ঈদ করবেন। বোন সেলিমা ইসলাম ও ভাই শামীম এস্কান্দারসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়ে ঈদ করবেন তিনি। ওই দিন তার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দেখা করার কথা রয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের দুদিন আগে তিনি নিজ এলাকা ঠাকুগাঁওয়ে ঘুরে এসেছেন। এছাড়া ঢাকায় ঈদ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকে ঢাকায় থাকবেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু নোয়াখালীতে ও যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশালে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের দিন বেলা ১১টা থেকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। এছাড়া জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতা ঢাকায় ঈদ করবেন। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, জাসদের হাসানুল হক ইনু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ ও মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এলডিপির আরেক অংশের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকায় ঈদ করবেন। অবশ্য তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেই নির্বাচনী এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।

 

Share.