রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু

0

ঢাকা অফিস: রাজশাহীতে করোনাভাইরাস পজেটিভ রোগী মারা গেছেন। রবিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল  কলেজের (রামেক) আইসোলেশন ওয়ার্ডে (সংক্রামক ব্যাধি-আইডি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগী মারা যান। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুস সোবহান (৮০) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৭ এপ্রিল তিনি জ্বর ও প্রসাবের সমস্যার কথা বলে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০ এপ্রিল তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। ওইদিনই তাকে আইডি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তবে ওই বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উৎস জানা যায়নি। এদিকে ওই রোগীর তথ্য গোপন করে রামেক হাসপাতালের ৫নং মেডিসিন ইউনিটে (৪২ নং ওয়ার্ড) চিকিৎসাধীন থাকায় জরুরী বিভাগসহ সংস্পর্শে আসা ২১ চিকিৎসক, ১২ নার্স ও কর্মচারীসহ ৩৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। গত ২২ ও ২৩ এপ্রিল কোয়ারেন্টিনে থাকা চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তবে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়াও বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় একটি ক্লিনিকেও চিকিৎসা নেন আব্দুস সোবহান। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাদেরও পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধ ফেরি করে বাঁশের তৈরী বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতেন। এই বয়সেও তিনি গ্রামে গ্রামে ফেরি করতে পারতেন। সম্প্রতি তিনি আশাপাশের গ্রামে গিয়ে তার তৈরী সামগ্রী বিক্রি করেছেন। এর পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। এর পর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত ১৭ এপ্রিল তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল ইসিজি করার পর তার করোনার পজেটিভ ধরা পড়ে।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীতে প্রথম করোনা পজেটিভ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আটজন শনাক্ত হয়। এদের পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। পুঠিয়ার পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুরের একজন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর থেকে আসেন। তবে বাঘার বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

Share.