বাংলাদেশ থেকে রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা চাকিরপশার ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের মৃত সুবীর চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শান্তি রানী(৮০)নিজের আছে আড়াই থেকে তিন শতাংশ জমি।তবে বসবাসের উপযোগী নেই কোন ঘর। আছে একটি ভাঙ্গা টিনের ঘর,নাই তার বেড়া।এই ভাঙ্গা ঘরে শুয়ে রাত্রি যাপন করেন শান্তি রাণী।কখন যে ঝড় তুফান আসে এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পোহাতে হয় বৃদ্ধা শান্তি রানী কে। শনিবার বিকেলে তার নিজ বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় শান্তি রানী স্বামী মৃত সুবীর চন্দ্র রায় কয়েক বছর আগে মারা যান। বৃদ্ধা শান্তি রানীর সংসার স্বামী সুবীর চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করেন। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় ফিরে আসেন নিজ ভাঙ্গা ঘরে। জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকতে সারাদিন পরিশ্রম করার পর রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাবে তারও উপায় নেই। কারণ বৃষ্টি হলেই পানিতে ভিজে যায় তার বিছানা। তবুও জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার তাগিদে জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরের বিছানায় রাতভর শীতের তীব্র ঠান্ডায় কাটিয়ে দেন রাত। স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম বলেন, ওই ভাঙ্গা ঘরে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন শান্তি রাণী, তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন মুজিববর্ষের একটি ঘর দেয়ার জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। শান্তি রানী বলেন, পেটের তাগিদে সারাদিন অপরের বাড়িতে পরিশ্রম শেষে ঘরে এসে আরামে ঘুমাবো তাও পারি না। কখন যে ঝড় বাতাসে ঘরটি ভেঙে পড়ে এজন্য রাত জেগে থাকতে হয়।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি করছি আমাকে যেন একটা ঘর করে দেন।
রাজারহাটে চাকিরপশার ইউনিয়নের ৮০বছরের বৃদ্ধা শান্তি রানীর ঠাই গোয়াল ঘরে
0
Share.