রিমালের প্রভাব বাজারে না পড়লেও বেড়েছে কাঁচামরিচ, ডিম ও পেঁয়াজের দাম

0

ঢাকা অফিস: বেড়েছে কাঁচামরিচ, ডিম ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েনি কাঁচা বাজারে। সপ্তাহে শেষে অপরিবর্তিত আছে বেশির ভাগ সবজির দাম। শুক্রবার ছুটির দিনে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। কক মুরগী কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা। ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এখন ১৬০ টাকা। পেয়াজের বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৬ টাকা। দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। মিনিকেট, নাজিরশাইল চালের দাম না বাড়লেও কিছুটা বেড়েছে আটাশ চালের দাম। কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে আটা ময়দার দাম। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে এক মাস ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে কাঁচা মরিচের দাম এখন ২০০ টাকা কেজি। এক মাস আগেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এর দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু গত ছয় দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৮৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হলেও তার সুফল মেলেনি। এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশি দামে বিক্রী হচ্ছে কাঁচা সবজি। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও করলার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকায়, কচুরমুখী কেজি ১২০ টাকা ও কচুর লতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তি। গরমে মুরগি মারা যাওয়ায় ডিমের বাজারেও এমন পরিস্থিতি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজারদর প্রতিবেদনেও কাঁচা মরিচ ও ডিমের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির চিত্র দেখা গেছে। এ দিনের বাজারদরের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায়, যা গত এক মাস আগে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত মাসে বিক্রি করা হয় ১২০ থেকে ১২৬ টাকায়।

Share.