রোজায় যেভাবে কাজ করছে পুলিশ

0

ঢাকা অফিস:পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি এবার অলিগলিতেও যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। অফিস, আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর দ্রুত বাসায় ফেরার তাড়া থাকে সবার মাঝে। যে কারণে শুধু প্রধান সড়ক নয়, পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোও যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে।ইফতারের ঠিক আগে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবার অলিগলিতেও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আজ বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনানী, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মতিঝিল, ফার্মগেট, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি ও গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, পুলিশের টহল ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছে। মহল্লার গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও গলির মুখে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নগরবাসী। রাজা বাজার এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ হাসান বলেন, আগে মহল্লার রাস্তাগুলোতে পুলিশের তৎপরতা দেখা যেতো না, তাই একবার যানজট হলে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হতো। এখন গলির মুখেও ট্রাফিক পুলিশ থাকায় দ্রুত গাড়ি চলতে পারছে।ধানমন্ডির বাসিন্দা ফারহানা সুলতানা বলেন, ইফতারের আগে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। পুলিশ না থাকলে রাস্তা পার হওয়াই কঠিন হয়ে যেতো। ট্রাফিক পুলিশ অনেক সময় গাড়িচালকদের সরাসরি নির্দেশনা দিচ্ছে, এতে ভোগান্তি কিছুটা কমছে।ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তানিয়া সুলতানা বলেন, রমজানে ইফতারের আগ মুহূর্তে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রধান সড়কের পাশাপাশি গলির রাস্তাগুলোতেও প্রচণ্ড যানজট তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে অলিগলিতে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যানজট নিরসনে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, ইফতারের আগে যানজট যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ জন্য পিকআওয়ারে অতিরিক্ত ফোর্স দিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পর মার্কেট এলাকাগুলোতেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও রাজধানীর যানজট নিরসনে সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন- শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি যথেষ্ট নয়, চালকদেরও নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো, নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করা এবং বিকল্প সড়ক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এছাড়া ইফতারের আগ মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং ও গণপরিবহনের যাত্রী নামানোর ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন।ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগের ফলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

Share.