স্পোর্টস রিপোর্ট: ২০০৯ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথেরিন মায়োরগা। অবশেষে ধর্ষণের সেই মামলা থেকে রেহাই পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মামলার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত বিশেষ নথি ‘চুরিকৃত’ হওয়ার কারণে তার এই অভিযোগ ‘কলুষিত’ হয়েছে। তাই রোনালদোর বিরুদ্ধে আনা এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে লাস ভেগাসের ফেডারাল আদালত। মামলাটা যে এমন পরিণতি পেতে পারে, তার আভাস মিলছিল গেল বছর থেকেই। মায়োরগার কৌঁসুলির ব্যবহারের কারণে এই মামলা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছিল লাস ভেগাসের আদালত। মামলাটির রায়ে বিচারক জেনিফার ডরসি লেখেন, ‘অত্যন্ত উঁচু মানের একজন ব্যক্তির বিপক্ষে এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন মায়োরগা। অসদুপায়ে অর্জিত নথি তার এই অভিযোগকে অতিরঞ্জিত করেছে এবং মামলার অন্যান্য ভিত্তিকে শক্ত করেছে। ফলে শুধু তার স্মৃতি ও মূল কিছু বিষয়ে তার উপলব্ধির ওপর ভিত্তি করে অন্য কোনো রায় দেওয়া ভুল হত ডরসির মতে, এই মামলায় ব্যবহার করা নথি মায়োরগার কৌঁসুলি লেসলি স্টোভালের হাতে এসেছিল অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে, যে কারণে তা মামলায় ব্যবহার করা যেত না। এরপর ‘অসদুপায়ে অর্জিত এই নথি’ হাতে গিয়েছিল মায়োরগার, যা পড়ে আমেরিকান এই মডেলের স্মৃতি বিগড়ে গিয়েছিল। যার ফলে তার ওপর ভিত্তি করেও মামলার রায় দেওয়া সম্ভব ছিল না বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক ডরসি। সে কারণেই মূলত মামলার মীমাংসা করে দেন তিনি। মায়োরগার কৌঁসুলি স্টোভাল এই ধর্ষণ মামলার নথি যোগাড় করেছিলেন ফুটবলের বিভিন্ন ফাঁস হওয়া তথ্যের জন্য বিখ্যাত রুই পিন্টোর কাছ থেকে। বিচারক জেনিফার ডরসি এইসব নথিকে গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যার ফলে এসব প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘চুরি করা গোপনীয় নথিগুলোকে স্টোভাল বারবার এই মামলায় ব্যবহার করে গেছেন, যা অসৎ আচরণের ইঙ্গিত দেয়। আর রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর মায়োরগা এই নথিগুলোকে বারবার যাচাই করে দেখেছেন, আর মায়োরগার অভিযোগের স্বপক্ষে ব্যবহার করেছেন।’ ‘স্টোভাল ইচ্ছাকৃতভাবে তার প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত, গোপনীয় যোগাযোগগুলোতে বাগড়া দিয়েছেন। যখন তিনি নথি হাতে পেয়েছেন, তখন তিনি নৈতিক নির্দেশনা না মেনেই স্পর্শকাতর নথিগুলো সামাল দিয়েছেন।’ লাস ভেগাসে ক্লার্ক কাউন্টি ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে মিস মায়োর্গা হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন, কিন্তু তিনি কোথায় হয়েছে ও কে করেছেন এসব বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন, যে কারণে পুলিশ তখন ‘কোনও তাৎপর্যপূর্ণ তদন্ত’ করতে পারেনি। কিন্তু ২০১৮ সালে তার অনুরোধে আবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়। জার্মানির দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের একটি আর্টিকেল অনুযায়ী ২০১০ সালে মিস মায়োর্গা রোনালদোর সাথে আদালতের বাইরে একটি সমঝোতায় এসেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল তিনি বিষয়টি নিয়ে কখনোই বাইরে কোনও অভিযোগ তুলবেন না।
রোনালদোর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের মামলা খারিজ
0
Share.