রোহিঙ্গা জনগণকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: জাতিসংঘ মহাসচিব

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ফলে ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্টি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে যাওয়া মানুষজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগণকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে জাতিসংঘ আশ্বাস দিয়েছিল, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবেন তারা। মহাসচিব সে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জানান, জাতিসংঘ সম্মিলিতভাবে সংকট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদার করবে। জাতিসংঘ মহাসচিব তার অফিসের কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার লক্ষ্যে মিয়ানমারে তার বিশেষ দূতের সাথে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ চিঠি পাঠান জাতিসংঘ মহাসচিব। প্রসঙ্গত, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মুখে প্রাণ বাঁচাতে আট লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ গণহত্যা শুরুর আগেই পর্যায়ক্রমে তিন লক্ষাধিক নির্যাতিত রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশে। বর্তমানে ১১ লাখ বাস্তুহারা রোহিঙ্গা  বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন।


Share.