ঢাকা অফিস: নওগাঁয় আগাম জাতের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের মাঝে। বৈশাখী উৎসবের আমেজে আয়োজন করা হয়েছে ধান কাটা উৎসবের। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে কঠোর লকডাউনে দূরের শ্রমিক না আশায় ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে।বিস্তীর্ণ মাঠে কাঁচা পাকা ধানের শীষগুলো কৃষকের স্বপ্ন দোলা হয়ে হালকা বাতাশে দুলছে। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর কৃষকের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলার কর্ম ব্যস্ততা চলছে নওগাঁয়। আগাম লাগানো বিল এলাকায় পাকা ধানে কাস্তে হাতে চলছে চাষি কর্মযজ্ঞ।বৈশাখের প্রথম দিনে কৃষকের ঘরে পাকা ধান তুলে দিতে আয়োজন করা হয় ধান কাটা উৎসব। নওগাঁর তালতলী বিলে জেলা কৃষি বিভাগের করেছে এ আয়োজন। এবার প্রাকৃতিক বালাই কম থাকায় ধানের ফলন হয়েছে ভালো। তবে করোনার কারণে কঠোর বিধিনিষেধের দূরের শ্রমিক না আসায় এসব পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শংকায় রয়েছে চাষিদের মধ্যে।মৌসুমের প্রথমে হাটে তোলা ধানের ভালো দাম পেলেও সরবরাহ বাড়লে কমে যায় দাম। ধানের কাঙ্ক্ষিত বাজার নিশ্চিত করতে এখন থেকেই প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান চাষীরা।মাঠপর্যায়ে ৭৫ শতাংশ ধান পেকে গেলে দ্রুত ঘরে তোলার ক্ষেত্রে যান্ত্রিক সহযোগিতাসহ কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ বলে জানান কৃষি অফিসার ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।নওগাঁর দুবল হাটির উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. সাব্বির হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা বোরো আবাদ থেকে ১০ লাখ ম্রেট্রিক টন ধান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কৃষি বিভাগ।
লকডাউনে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে চাষিরা
0
Share.