ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কিছু এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান ধরে রেখেছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। পানগোং তাসো এবং গালওয়ান উপত্যকায় সেনা শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। এই দুটি এলাকায় চীন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি অস্থায়ী অবকাঠামোর পরিমাণও বাড়িয়েছে। সেনা উপস্থিতির জেরে ২০১৭ সালের দোকলাম সংকটের পর দেশ দুটির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি। ২০১৭ সালে দোকলাম সীমান্তে ৭৩ দিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। গত ৫ মে পানগোং তাসো এলাকায় দুই দেশের সেনা সদস্যরা রড, লাঠি ও পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়। পরে ৯ মে উত্তর সিকিমেও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। পরে ভারতীয় সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে জানান, এগুলো খুবই সাধারণ ঘটনা। মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার বদল হলে এসব ঘটনা ঘটতে পারে। সোমবার ভারতের ঊর্ধ্বতন সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি পানগোং তাসো এবং গালওয়ান উপত্যকায় সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর খবর জানিয়েছে। এক সেনা কর্মকর্তা সম্প্রচারমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘এসব এলাকায় ভারতের সামরিক শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেক বেশি।’ নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চীনের সেনা উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কার জেরে ভারতের সেনা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্র। গালওয়ান উপত্যকার দারবুক-শায়ক-দৌলত বেগ ওলতি সড়কের ভারতীয় পোস্ট কেএম১২০ এলাকাতেও চীনের সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ভারতের উত্তরাঞ্চলের সাবেক সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডিএস হুদা বলেন, ‘এটা মারাত্মক। স্বাভাবিক কোনও শক্তি বৃদ্ধি নয়।’ গালওয়ানে চীনের সেনা উপস্থিতির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন এটা বিশেষভাবে ভীতিকর কারণ এই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। কৌশলগত বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রদূত অশোক কে কে কান্তা ডিএস হুদার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা কোনও নিয়মিত মুখোমুখি অবস্থান নয়। বিরক্তিকর পরিস্থিতি।’
লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী, বাড়াচ্ছে শক্তি
0
Share.