লিবিয়ায় ৫৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর শঙ্কা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: অভিবাসীদের বহনকারী আরও একটি নৌকা লিবিয়া উপকূলে ডুবে গেছে। এতে ওই উপকূলে ৫৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার (২৬ জুলাই) জীবিত ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যাওয়া আরোহীরা নাইজেরিয়া, ঘানা ও গাম্বিয়ার নাগরিক। এই রুট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিরাও ইউরোপ যেতে পাড়ি দেন ভূমধ্যসাগর।করোনা মহামারির এই সময়ে সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রার প্রবণতা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশিরা ছাড়াও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে মানুষ, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মরিয়া ইউরোপে যেতে। এজন্য লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার রুট ব্যবহার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আর দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হচ্ছে অহরহ।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসেলি জানান, রোববার (২৫ জুলাই) উপকূলীয় খুমস শহর থেকে নৌকাটি রওনা দেয়। এতে অন্তত ৭৫ আরোহী ছিলেন।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসেলি বলেন, মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নৌকাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। জেলে ও কোস্টগার্ড সদস্যরা যাদের উপকূলে ফিরিয়ে এনেছেন তারা জানিয়েছেন, তলিয়ে যাওয়াদের মধ্যে অন্তত ২০ জন নারী আর দুই শিশু রয়েছেন।গত সপ্তাহে নৌকাডুবে গেলে তিউনিসিয়া উপকূলে ১৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয় অন্তত ৪০০ জনকে।জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ১১ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৩ শতাংশ বেশি। লিবিয়ায় বিদেশিদের অবমূল্যায়নের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।জাতিসংঘের মতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে কমপক্ষে ৭৬০ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

Share.