লিবিয়া সীমান্ত থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি বড়সড় নৌঘাঁটির উদ্বোধন করেছেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন ঘনিষ্ঠ মিত্র আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ও লিবিয়ার জোট সরকারের প্রেসিডেন্ট।মিসর জানিয়েছে, শনিবার (২ জুন) উদ্বোধন করা এই নৌঘাঁটি অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থও রক্ষা করবে।ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরে নৌ উপস্থিতি বাড়াচ্ছে আফ্রিকান দেশটি। নৌঘাঁটি উদ্বোধনী দিনের প্রদর্শনীতে ফ্রান্স থেকে আসা দুটি বিমানবাহী মিস্ট্রাল রণতরী, জার্মানির নির্মিত ডুবোজাহাজ ও এফআরইএমএম-শ্রেণির ইতালীয় ফ্রিগেট অংশ নিয়েছে।এসময় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, প্যারাস্যুট ঝাঁপ ও উভচর যানের অবতরণসহ মহড়া দিতে দেখা গেছে মিসরীয় নৌবাহিনীর। পরবর্তীতে ইথিওপিয়ার নির্মিত বিশাল জলবিদ্যুৎ বাঁধ নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে কথা বলেন সিসি। ওই বাঁধ মিসরীয় জলপ্রবাহের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।বাঁধটি নিয়ে আলোচনা বারবার স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইথিওপিয়ার উন্নয়নকে প্রশংসার চোখে দেখলেও আলোচনা অব্যাহত রাখা উচিত বলে মনে করেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট।এই নৌঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য জুলাই ৩’। ২০১৩ সালের এদিন মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন তখনকার সেনাপ্রধান সিসি। ১০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গাজুড়ে স্থাপিত ঘাঁটিতে এক হাজার মিটারের একটি নৌ জেটি রয়েছে। বাণিজ্যিক পরিবহনের জন্যও জেটি রাখা হয়েছে এখানে।লিবিয়ায় ২০১৪ সালের সংঘাত শুরু হয়ে যাওয়ার পর পূর্বাঞ্চলভিত্তিক কমান্ডার খলিফা হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া জলসীমা নিয়ে মিসরের সঙ্গে তুরস্কেরও উত্তেজনা বাড়ছে।
লিবিয়া সীমান্তে নৌঘাঁটি উদ্বোধন মিসরের সিসির
0
Share.