ডেস্ক রিপোর্ট: লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সমাবেশ শেষে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ইসরায়েল- লেবানন সীমান্ত জুড়ে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে। বিবৃতিতে কার্টজ বলেন, ‘উত্তরে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। আমরা সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করব। ’ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও আশা করেছিলেন শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হবে। কিন্তু এখন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে লেবাননে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে এবং স্থল আক্রমণের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘে ভাষণ দিতে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি এখনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাননি; বরং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার সরকারের কট্টরপন্থীরা বলেছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এদিকে ওই এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাতভর বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননের প্রায় ৭৫টি হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে বিশেষ করে অস্ত্রের গুদাম এবং লঞ্চারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সর্বশেষ লেবাননের ইউনিনে শহরে তিন তলা একটি ভবনে আঘাত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২৩ সিরিয়ান নাগরিক নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র আলি কুসাস। লেবানন প্রায় ১.৫ মিলিয়ন সিরিয়ান শরণার্থীর আশ্রয়স্থল, যারা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ১৫ লাখ সিরিয়ান।
লেবাননে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল
0
Share.