ডেস্ক রিপোর্ট: গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর আবারও চন্দ্রাভিযানে নামতে যাচ্ছে নাসা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নাসার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট এবং চন্দ্রাভিযান প্রকল্প আর্টেমিস-১ উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়া এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। তবে শনিবার সেটি উৎক্ষেপণের জন্য পুনরায় নাসার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।, ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। তবে প্রয়োজনে দুই ঘন্টা বিলম্বের সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশ্লেষক মেলোডি লোভিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আবহাওয়া ভালো দেখাচ্ছে’ এবং এটি ‘শোস্টপার’ হবে বলে আশা করা যায় না। সোমবার, নাসা তার মূল নির্ধারিত উইন্ডোতে উৎক্ষেপণের শেষ মিনিটে প্রযুক্তিগত যে ধরণের ত্রুটি ছিল সেগুলো সংশোধনের জন্যেও কাজ করেছে। রকেটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জন হানিকাট বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল রকেটের চারটি প্রধান ইঞ্জিনের মধ্যে একটি খুব গরম হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি কেবল সেন্সরের ত্রুটিযুক্ত পাঠের কারণে হয়েছিল বলে প্রমাণিত হয়। ভবিষ্যতে, এ ধরণের ভুল তথ্য উপেক্ষা করা হবে। এছাড়াও রকেটের একটি জ্বালানি ট্যাংক লিক প্যাচ করা ছিল। লঞ্চ ডিরেক্টর চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন বলেন, ‘আমরা যা ভেবেছিলাম সেটিই লিকের উৎস এবং তা সংশোধন করতে পেরেছি।’ আর্টেমিস-১ মিশন একটি ক্রুবিহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। এটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেটের জন্য প্রথম উৎক্ষেপণ হবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী। এই প্রযুক্তিটি নিয়ে এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করা হচ্ছে। আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেছেন, ‘শনিবার আমরা যে মাঠে নামতে যাচ্ছি তার কোন নিশ্চয়তা নেই, তবে আমরা চেষ্টা করব।’ মিশনটি শনিবার হলে, রকেটের ওপরে স্থির করা ওরিয়ন ক্যাপসুলটি ৩৭ দিন মহাকাশে কাটাবে এবং প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এটি সেই ওরিয়ন যা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদেরকে চাঁদে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর্টেমিসের নামকরণ করা হয়েছে চাঁদের প্রথম মিশনের সেই গ্রীক দেবতা অ্যাপোলোর যমজ বোনের নাম অনুসারে। নাসা জানিয়েছে, এই অভিযান এবং প্রযুক্তি সফল হলে মঙ্গলেও মানুষ পাঠানোর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।
শনিবার আর্টেমিস-১ উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত নাসা
0
Share.