ঢাকা অফিস:আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটি, জেলা ও মহানগরের থানা ইউনিটগুলোর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালির মূল প্রতিপাদ্য ছিল— “বায়ান্ন থেকে চব্বিশ: বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আপসহীন লড়াই।”সকাল সাড়ে ১০ টায় র্যালিটি গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী মাঠের পূর্ব উত্তর কোণ থেকে শুরু হয়ে ডিসি অফিসের সামনে দিয়ে আজীম উদ্দিন কলেজ রোড অতিক্রম করে জেলা পরিষদ চত্বর হয়ে পুনরায় রাজবাড়ী মাঠে এসে সফলভাবে শেষ হয়। র্যালি শেষে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।গাজীপুর জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে আগত হাজারো নাগরিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে র্যালিটি এক অনন্য আবহ তৈরি করে।এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও ক্রাইসিস রেসপন্স সেলের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান বক্তব্যে বলেন, “নতুন বাংলাদেশ তথা সেকেন্ড রিপাবলিক গড়বার জন্য বায়ান্ন, একাত্তর এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মদান এবং দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্খাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “বাংলা ভাষার সর্বস্তরে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, উচ্চশিক্ষায়, উচ্চ আদালত, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ সব জায়গায় বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রয়োজন।”অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে জাতির কাছে করা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।”এ সময় টঙ্গী পশ্চিম প্রতিনিধি নাবীল ইউসুফ, টঙ্গী পূর্ব প্রতিনিধি সাইফ আহমেদ, গাছা প্রতিনিধি এম ইসলাম আসাদ, শ্রীপুর প্রতিনিধি হাবিব হাসান, সদর প্রতিনিধি খন্দকার আল আমীন, বাসন থানা প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম তামীম এবং সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধি মো. রাহাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা প্রদান করেন। বক্তারা সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।এই মহতী আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যা গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের সংগ্রামে নতুন প্রেরণা যোগাবে
শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গাজীপুরের জাতীয় নাগরিক কমিটি
0
Share.