ঢাকা অফিস: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। চলতি মে মাসের ২৪ তারিখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তা বাড়িয়ে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরও ২৯ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয় বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।সোমবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো তারিখ নিয়ে কথা হয়নি।তিনি আরও বলেন, দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রাখতে বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবারই একটা বক্তব্য- আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংস্কারের কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংস্কারে সরকার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। ৪৯টি ইউনিভার্সিটি বা কলেজগুলোর যে হোস্টেলগুলো আছে সেগুলো অলরেডি ৪০টির মতো সংস্কার হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন আসছে। যদি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি তারপরে ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব।সরকারের সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।এর আগে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং করোনার ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বেগ থাকায় দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা
0
Share.