শিক্ষার্থীরা ভেঙে ফেলেছেন ব্যারিকেড, স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন বঙ্গভবনে

0

ঢাকা অফিস: সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত গণপদযাত্রা নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন পুলিশ সদস্যরা। সামনে এগোতে না পেরে সেখানে তারা বসে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গবভনের দিকে রওনা হন। রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গবভনের দিকে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন দেখা যায়, পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে এলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সামনে অবস্থান করছেন। এছাড়া গুলিস্থানের পাতাল মার্কেট এলাকায় পুলিশের একটি সাজোয়া যান দেখা যায়। এ সময় রাস্তা ব্লক করে ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে থাকেন। তবে মতিঝিলের রাস্তা আটকে রাখেন পুলিশ সদস্যরা। গুলিস্তান মোড়ে এপিসি কার ও জলকামান নিয়ে শত শত পুলিশ সদস্যকে প্রস্তুত থাকতেও দেখা যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সংসদে আইন পাসের এক দফা দাবিতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে যাবে। কর্মসূচি অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়। একই সঙ্গে আন্দোলনে থাকা ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই গণপদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। সারা দেশে প্রায় ৫০টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

Share.