শিশু দিবসে শিশু মেলা

0

বাংলাদেশ থেকে টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জানা যায়, শহরের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলায় শিশুরাই ক্রেতা ও শিশুরাই বিক্রেতার ভূমিকায় ছিল। এই মেলায় একাধিক স্টলে শিশুরা বিভিন্ন খাবার ও খেলনা সামগ্রী নিয়ে বসে। তবে এই খাবার সামগ্রী বিনামূল্যে অন্য শিশুরা সংগ্রহ করে। এই মেলা উপলক্ষে শিশুরা মেতে ওঠে আনন্দে-উল্লাসে। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলার শুরুতেই এমন আয়োজন দেখে শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুগ্ধ শিশুদের অভিভাবকরাও। এদিকে, মেলায় জিলাপি, আকরি, চিনি সাঁজ, কদমা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, খাজা, পোড়াবাড়ির চমচম, মাটির খেলনা, হাড়ি-পাতিলসহ নানা ধরনের পসরা বসিয়ে আনন্দে দোকান করে তারা। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। তবে অনুষ্ঠানে ছিল না কোনও বড় অতিথি অথবা শিল্পী। এদিন সব দায়িত্ব ও অতিথির আসনেও বসেছিল এই শিশুরাই। অভিভাবক সামিমা সিথি বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলেছে। শিক্ষার্থীদের মনটাও ভালো ছিল না। তারা গম্ভীরভাবে দীর্ঘদিন বাসায় আটকা ছিল। সম্প্রতি বিদ্যালয় খুলেছে। বিদ্যালয় খুলেই এমন আয়োজন দেখে শিশুরা অনেক খুশি হয়েছে। যান্ত্রিক এবং প্রতিযোগিতার বাজারে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত। অভিভাবক সুমাইয়া পারভীন শিলা বলেন, সত্যিই এটা একটা ব্যতিক্রমী আয়োজন। আর শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এদিন শিশুরা অনেক আনন্দে কাটিয়েছে। শিশুমেলায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে শিশুরা। হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, আমরা বরাবরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। এবার একটু ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিশুরা তাদের বাসায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে মেশার সুযোগ ছিল না। এজন্য আমরা শিশুদের মাঝে তার সহপাঠীর সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসা সৃষ্টির লক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আমরা এই শিশুমেলার আয়োজন করেছি। আজকের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ও শিশুদের মাঝে আনন্দ দিতে এবং গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

 

Share.