শিশু সামিউল হত্যা মামলার রায় ৮ ডিসেম্বর

0

ঢাকা অফিস: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ের দিন ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া (টিপু) সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক ৮ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’ মামলার আসামিরা হলেন শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩)। এর মধ্যে সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা জামিনে ছিলেন। আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর জামিন বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে প্রেমিক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তারের পর হাইকোর্ট থেকে  জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।   নথি থেকে জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে  মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ওই বছরের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।নিহত সামিউল রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংলিশ মিডিয়ামে প্লে শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরবর্তীতে, ওই বছরের ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় নিহত শিশু সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিনই আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আয়েশা ও শামসুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্রের পরে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

Share.