সোমবার, ডিসেম্বর ২৩

শুক্রবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট

0

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাত দফায় অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে কেরালার ২০ আসনে, যেখানে লড়াই প্রধানত বামপন্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের। বিজেপি দক্ষিণের এই রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো আসন জিততে পারেনি। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা রাজ্যে পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সর্বভারতীয় স্তরে দুজনই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক ও বিজেপিবিরোধী। অতএব কেরালায় যারাই জিতুক, তা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পাওনার ঘরই ভারী করবে। কেরালার লাগোয়া কর্ণাটকের ১৪ আসনেও ভোট হবে শুক্রবার। রাজ্যের মোট আসন ২৮। তার মধ্যে আগের লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি। বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে কংগ্রেস ওই রাজ্য শাসন করছে গত বছর থেকে। মরিয়া বিজেপি হাত মিলিয়েছে রাজ্যের তৃতীয় শক্তি জেডিএসের সঙ্গে। আসন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে গেলে বিজেপির কাছে কর্ণাটকে ভালো ফল করা জরুরি। সেই লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করে দিয়েছেন। বিজেপি ৩৭০, এনডিএ ৪০০ পার। দ্বিতীয় দফা ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, অ্যানি রাজা, শশী থারুর, নবনীত রানা, ওম বিড়লা, হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল এবং প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা। আগামীকালের ভোটে গোটা দেশের নজর থাকবে কেরালার ওয়ানড়ে কেন্দ্রের দিকে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লড়ছেন সেখানে। এর আগেরবার এ আসন থেকে প্রায় পৌনে তিন লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। অন্যদিকে, স্বাধীনতার পর থেকে কেরালা রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতায় বসতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। গেলো লোকসভা নির্বাচনে ২০ আসনের রাজ্যটিতে বিজেপি কোন আসন পায়নি। একইভাবে ২০২১ সালের রাজ্যটির বিধানসভা ভোটেও বিজেপির ঝুলিতে যায়নি ১৪০ আসনের একটিও। পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতেও গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি টিমটিম করে জ্বলা বাতির মতোই। ভারতের লোকসভা নির্বাচন ভোটগ্রহণ হচ্ছে সাত দফায়। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়। এরপর আগামীকাল ২৬ এপ্রিলের পর আছে ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও সবশেষ ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। আর ভোট গণণা হবে আগামী ৪ জুন। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি; যার মধ্যে তরুণই ২১ কোটি।

Share.