ঢাকা অফিস: দেশে প্রচলিত ফৌজদারী, দেওয়ানীসহ সকল আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়। দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতৃবৃন্দসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। তাঁর সকল অপকর্মের দায় নিয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারানির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিজভী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও শান্তিপূর্ণ সভা—সমাবেশে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও রিপোর্টে বলা হয়েছে। ভারতকে বর্তমান ডামি সরকারের ‘বড় বন্ধু’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা তাদের দিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের সকল অপকর্মের একমাত্র দোসর হচ্ছে ভারত। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী নিপীড়ক সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। এ সময় বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের উপরেও বর্তায় এবং সরকারের নতজানু নীতির কারণেই বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়: রিজভী
0
Share.