ঢাকা অফিস: জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তা সব মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে তার দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে উস্কানিমূলক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানলের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যেন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে শেখ হাসিনার এ ধনের বক্তব্যের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, সব ধরনের মাধ্যম থেকে তার বক্তব্য অপসারণে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত শেখ হাসিনার বক্তব্য অপসারণের সুযোগ রয়েছে কি-না, জানতে চাইলে প্রসিকিউটর জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুযায়ী সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এরপর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ। পে-অফ: হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ঢকা।
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা
0
Share.