বাংলাদেশ থেকে শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসন (২৭) নামে এক যুকবের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। ২২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম নোমান পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার টেংরাগাতী পাড়েরহাট এলাকার আব্দুল লতিফ সরদারের ছেলে। তবে সে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট গোলাম কিবরিযা বুলু ওই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শেরপুর শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকার অধিবাসী ও শেরপুর সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে পরিচয় হয় রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসনের। একপর্যায়ে তাদের মাঝে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে। ওই অবস্থায় পূর্বের কথা মোতাবেক ২০১৯ সালে ১৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবক জেকসনের সাথে সাক্ষাতের জন্য ওই কলেজ ছাত্রী শহরের মুন্সিবাজারস্থ ভুঁইয়া প্লাজার সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছলে জেকসন ফুসলিয়ে তাকে অপহরণ করে। অন্যদিকে, কোচিংয়ের কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসা ওই কলেজ ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজা-খুঁজি করে না পেয়ে পরদিন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরবর্তীতে তাকে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে একই বছরের ১৭ এপ্রিল রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসন এবং তার ২ বন্ধু খালিদ হাসান (২৪) ও দেলোয়ার হোসেন (৩০)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারসহ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর তদন্ত শেষে একই বছরের ২৪ আগস্ট একমাত্র জেকসনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার এসআই আনছার আলী। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু একমাত্র আসামি জেকসন দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে গিয়ে পলাতক হয়। বিচারিত পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।