শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

শ্রমিকরা কাজ না করলে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত

0

ঢাকা অফিস: শ্রমিকরা কাজ না করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাত ১২টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় গিয়েও কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন বা কারখানা ছেড়ে বেড়িয়ে যাবেন, সেসব কারখানার মালিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করে দেবেন। সভায় এখন থেকে দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সংগঠনটি তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছে, প্রতিটি পোশাক কারখানার গেটে ‘নিয়োগ বন্ধ’ লেখা ব্যানারও টাঙিয়ে দিতে হবে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, যেসব কারখানায় আগুন দেওয়া, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা যাবে। মামলার পর এর একটি কপি তাদের সিনিয়র অতিরিক্ত সচিবকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব কারখানায় আগুন দেওয়া, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিজিএমইএর সিস্টেম অ্যানালিস্টকে দিতে হবে বলেও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বিজিএমইএর চিঠিতে। বিজিএমইএ চিঠিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের অভিঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে কার্যাদেশ কমে যাওয়া এবং সম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতির কারণে তারা সমন্বয় সভা করেছে। সভায় অন্যদের মধ্যে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং সহসভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.